ফসলের জাত নির্বাচন
ফসলের জাত নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়
ফসলের জাত নির্বাচন:
অধিক ফলন ও লাভের জন্য এলাকা ভিত্তিক চাষ উপযোগী সঠিক জাত নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। সঠিক জাত নির্বাচনের উপরেই নির্ভর করে পুরো মৌসুমজুড়ে কৃষকের জমি ও ফসলের সঠিক ব্যবস্থাপনা। আর তাই, নানা জাতের বীজের মধ্য থেকে সঠিক জাতটি নির্বাচন করে চাষ করা একজন কৃষকের প্রাথমিক দায়িত্ব।
জাত নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত। তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো:-
- মৌসুম: রবি না খরিফ কোন মৌসুমে চাষ করতে যাচ্ছি সেটা মাথায় রেখে সেই মৌসুম উপযোগী জাত নির্বাচন করা উচিত।
- জমির অবস্থান: জমির অবস্থান বিবেচনা করে জাত নির্বাচন করা জরুরী। জমিটি উচুঁ, নিচুঁ, বৃষ্টি বা বন্যা নির্ভর, খরাপ্রবণ না লবণাক্ত এলাকায় ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে জাত নির্বাচন করতে হবে।
- জমির উর্বরতা: উর্বরতা মাটির অন্যতম গুন। মাটি অনুর্বর বা অল্প উর্বর হলে গাছ প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান মাটি হতে পাবে না ফলে গাছের বৃদ্ধি বিঘ্ন ঘটে ফলন কম হবে। জাত নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাই জমির উর্বরতা শক্তির ধরন বুঝে সেই অনুযায়ী জাত নির্বাচন করতে হবে।
- চাহিদা ও বাজার দর: বাজারে সব ধানের চালের বা সব জাতের সবজির চাহিদা বা বাজার দর সমান না। যে ধান বা সবজির জাতের বাজারে চাহিদা আছে চাষ করার জন্য সেই জাত নির্বাচন করতে হবে। এই ক্ষত্রে সেই জাতের ফসলের রং, আকার, রান্নার উপযোগিতা, স্বাদ, সুবাস ইত্যাদি বিবেচনায় আসবে।
- ফলন: সারা মৌসুম রোদ বৃষ্টিতে কষ্ট করে চাষ করে যদি দেখা যায় ফসলের ফলন কম হয়েছে তাহলে লাভ তো দূরের কথা, খরচই উঠে আসবেনা। তাই জাত নির্বাচনের ক্ষেত্রে কৃষকের অবশ্যই দেখতে হবে কোন জাতের সম্ভাব্য ফলন কেমন, তা চাষ করে লাভ আসবে কিনা এবং সে অনুযায়ী পরিচর্যা করা।
- প্রতিরোধ বা সহ্য ক্ষমতা: যেসব জাতের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশী, পোকার আক্রমন কম হয় এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে (বন্যা, ক্ষরা, লবনাক্ততা ইত্যাদি) খাপ খাইয়ে নিতে পারে সেসব জাতকে জাত নির্বাচনের সময় অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত
