মুগের বিছা পোকা
মুগের বিছা পোকা দমন পদ্ধতি
![]() |
| মুগের বিছা পোকা |
পোকার নাম : বিছা পোকা
পোকার স্থানীয় নাম : নেই
পোকা চেনার উপায় :
পূর্ণ বয়স্ক মথ মাঝারি হালকা হলুদ রঙের ও পাখায় কালো দাগ থাকে।কীড়া দেখতে কমলা রঙের, ৬-৮ ইঞ্চি লম্বা।
ক্ষতির ধরণ :
ডিম থেকে কীড়া বের হয়ে পাতায় একসাথে গাদা করে থাকে এবং সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে জালের মতো করে ফেলে। কয়েকদিনের মধ্যেই সারা ক্ষেতে এই পোকা ছড়িয়ে পড়ে এবং বড় বড় ছিদ্র করে পাতা খেয়ে ফেলে।
পোকা আক্রমণের লক্ষণঃ
পাতার উল্টো পিঠের সবুজ অংশ খেয়ে পাতাকে সাদা পাতলা পর্দার মত করে ফেলে।এরা সারা মাঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো পাতা খেয়ে ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধন করে ।
আক্রমণের পর্যায় : বাড়ন্ত পর্যায়, চারা, পূর্ণ বয়স্ক
ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : পাতা
পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : কীড়া
আক্রমণের পূর্বে করণীয়ঃ
নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে আক্রমণের শুরুতেই ব্যবস্থা নিন
আক্রমণের পর করণীয়ঃ
১. পাতায় ডিমের গাদা দেখলে তা তুলে ধ্বংস করতে হবে।
২. ডিম আথবা আক্রমণের প্রথম অবস্থায় কীড়াগুলো যখন পাতায় দলবদ্ধ অবস্থায় থাকে তখন পোকা সমেত পাতাটি তুলে পায়ে মাড়িয়ে বা গর্তে চাপা দিয়ে মারতে হবে।
৩. কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক যেমন: ভিটাব্রিল ৮৫ ডব্লিউপি ৩ গ্রাম বা আক্রমণ বেশি হলে এমামেক্টীন বেনজোয়েট জাতীয় কীটনাশক ( যেমন প্রোক্লেইম ১০ গ্রাম) অথবা সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (যেমন-রিপকর্ড ১০ তরল অথবা সিমবুশ ১০ তরল ২০ মিলিলিটার / ৪ মুখ) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২ বার স্প্রে করতে হবে। কীটনাশক স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
৪. ভালভাবে পোকা দমন করতে হলে ক্ষেতের আশে পাশে বা অন্য আগাছা থাকলে তা পরিস্কার করে ফেলতে হবে।
৫.বিছা পোকা যাতে এক ক্ষেত হতে অন্য ক্ষেতে ছড়াতে না পারে সে জন্য প্রতিবন্ধক নালা তৈরী করা যায়।
বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
পূর্ব-প্রস্তুতি :
চারা গজানোর পর জমিতে বাঁশের কঞ্চি বা ডালপালা পুঁতে দিতে হবে।
অন্যান্য :
মাঠের চারিদিকে নালা তৈরি করে তারমধ্যে কেরোসিন পানি মিশিয়ে রেখে এদের চলাচলে বাধা দেয়া যায়। আক্রমণ বেশি হলে নিকটস্থ কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন।
