মুগ ডালের জাব পোকা দমন

 মুগ ডালের জাব পোকা দমন নিয়ে আলোচনা 

মুগ ডালের জাব পোকা দমন,চেনার উপায়,ক্ষতির ধরণ,ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে তা চিহ্নিত করে  দমন ব্যবস্থানার মাধ্যমে পূর্ব-প্রস্তুতি গ্রহন করা।
ekrishi24,মুগ ডালের জাব পোকা দমন


মুগ ডালের জাব পোকা দমন,চেনার উপায়,ক্ষতির ধরণ,ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে তা চিহ্নিত করে  দমন ব্যবস্থানার মাধ্যমে পূর্ব-প্রস্তুতি গ্রহন করা।


পোকার নাম : জাব পোকা


পোকার স্থানীয় নাম :  নেই


পোকা চেনার উপায় : 

খুব ছোট সবুজাভ সাদা, নরম দেহ বিশিষ্ট


ক্ষতির ধরণ : 


মুগ ডাল ফসলের বৃদ্ধির সকল ধাপ আক্রান্ত হতে পারে। জাব পােকার লম্বা ছিদ্রকারী মুখ উপাঙ্গ থাকে যা তারা ডগা ও কচি পাতা থেকে রস শুষে খেতে ব্যবহার করে। ফলে ডগা ও পুষ্পমঞ্জরী বিকৃত হয় এবং পাতা কোঁকড়ানাে, গােল বা ভাঁজ হয়ে যায়। এ পােকা গাছের মিষ্টি ফ্লোয়েম খায় এবং অতিরিক্ত চিনি হানিডিউ আকারে নিঃসরণ করে।যখন এটি পাতায় পড়ে, তখন স্যুটিমােল্ড ছত্রাক সেখানে দ্রুত আবাস

গড়ে তােলে যা পাতাকে কালাে করে ফেলে। স্যুটিমােল্ড সালােকসংশ্লেষসহ গাছের উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস করে। উদ্ভিদের প্রাণশক্তি এবং ফলের গুণাগুণে এর প্রভাব পড়ে। ট্রিস্টেজা ভাইরাস দ্বারা এ সংক্রমণ ঘটে, যার বাহক জাবপােকা।এছাড়া পাতা, ফুল ও কচি ফলের রস চুষে খায়।তাছাড়া এই পোকা হলুদ মোজাইক ভাইরাস রোগ ছড়ায়।


আক্রমণের পর্যায় : পূর্ণ বয়স্ক


ফসলের যে অংশে আক্রমণ করে : 

পাতা , ফল , ফুল


পোকার যেসব স্তর ক্ষতি করে : পূর্ণ বয়স্ক , নিম্ফ


দমন ব্যবস্থাপনা :

আক্রমণ বেশি হলে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক (যেমন এডমায়ার অথবা টিডো ৭-১০ মিলিলিটার / ২মুখ) ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি ৫ শতকে স্প্রে করতে হবে ১০ দিন পরপর ২/৩ বার। ঔষধ স্প্রে করায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।


বালাইনাশক সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন


বালাইনাশক ব্যবহারে সতর্কতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন


পূর্ব-প্রস্তুতি :


আগের ফসলের নাড়া বা অবশিষ্ট অংশ ভালভাবে ধ্বংস করা । আগাছা, মরা পাতা ও আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষন করতে হবে।


অন্যান্য :

সাবানযুক্ত পানি স্প্রে করা যায় অথবা আধাভাঙ্গা নিমবীজের পানি (১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম নিমবীজ ভেঙ্গে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে নিতে হবে) আক্রান্ত গাছে ১০ দিন পর পর ৩ বার স্প্রে করলে পোকা নিয়ন্ত্রন করা যায়। এছাড়াও তামাকের গুড়া (১০গ্রাম), সাবানের গুড়া (৫গ্রাম) ও নিমের পাতার রস প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url