সরিষা চাষ ও জাত পরিচিতি | সরিষা চাষ

সরিষার বিভিন্ন জাত ও চাষ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা 


সরিষা বাংলাদেশের প্রধান ভোজ্য তেল ফসল। বিভিন্ন জাতের সরিষার বীজে প্রায় ৪০-৪৪% তেল থাকে। খৈলে প্রায় ৪০% আমিষ থাকে।সরিষার চাষ এলাকায় পর্যাপ্ত মৌমাছি থাকতে হবে৷ এতে সরিষার পরাগায়ন ভালো হয়৷ কীটনাশক প্রয়োগে মৌমাছি না আসায় ফসল কম হয়৷ নিম্নে সরিষা চাষ ও জাত পরিচিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। 

সরিষা চাষ ও জাত পরিচিতি,সরিষা বীজ ছিটিয়ে বপন করা হয়।লাইন করে বুনলে সার,সেচ ও নিড়ানী দিতে সুবিধা হয়।বীজে প্রায় ৪০-৪৪% তেল ও খৈলে প্রায় ৪০% আমিষ থাকে।
সরিষা চাষ ও জাত পরিচিতি | সরিষা চাষ



পরিচিতিঃ-

 বাংলা নামঃ- সরিষা। ইংরেজী নামঃ- Mustard.
বৈজ্ঞানিক নামঃ Brassica juncea (রাই সরিষা), Brassica campestris var: toria (দেশি টরি),              Brassica campestris, var: sarson (শ্বেত সরিষা)। পরিবারঃ Brassicaceae (Cruciferae).



সরিষা চাষের জন্যে উত্তম মাটি

উর্বর ও মধ্য উর্বর দোআঁশ ও পলি দোআঁশ মাটি সরিষা চাষের জন্যে উত্তম৷ মাটির বর্ণ গাঢ় ধূসর হওয়া ভালো৷ লালমাটিতে  সরিষার চাষ ভালো হয় না৷ মাটির অম্লমান ৬.০ থেকে ৭.০ এর মধ্যে থাকলে উত্তম৷ লোনা মাটিতে সরিষা ভালো হয় না৷ শুষ্ক অবস্থায় ফাটল ধরা মাটিতে সরিষা ভালো হয় না৷ উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমি সরিষার জন্যে ভালো৷ আগাম পানি নিকাশ হলে মাঝারি নিচু জমিতে সরিষা চাষ করা যায়। উঁচু-নিচু জমিতে সরিষার চাষ করা যায় না৷ জমি উন্মুক্ত স্থানে হওয়া দরকার, যাতে সেখানে সারাদিন রোদ পড়ে৷


সরিষা চাষের জন্যে জলবায়ু 

১৫-৩০ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ অধিক তাপ তেলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়৷


বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা

৫০-৭০ডিগ্রি৷ বায়ুর আর্দ্রতা বাড়লে  রোগ বিশেষত অল্টারনারিয়া পাতা ধসা ও পোকার প্রকোপ বাড়ে৷ 


জীববৈচিত্র্য

সরিষার চাষ এলাকায় পর্যাপ্ত মৌমাছি থাকতে হবে৷ এতে সরিষার পরাগায়ন ভালো হয়৷ কীটনাশক প্রয়োগে মৌমাছি না আসায় ফসল কম হয়৷


বৃষ্টিপাত

 কম বা বৃষ্টিহীন পরিবেশ সরিষা উৎপাদনের জন্যে ভালো৷


অতিবৃষ্টি

 মৌসুমের শুরুতে নভেম্বর মাসে ও শেষে ফেব্রুয়ারি মাসে অতিবৃষ্টি সরিষার চাষের জন্য খুব ক্ষতিকর হয়ে থাকে৷


বাংলাদেশে ৩ প্রকার সরিষার চাষ বেশি  হয়। এ গুলো হলো-টরি, শ্বেত ও রাই। নিম্নে সরিষার জাত পরিচিতি আলোচনা করা হল। 


সরিষার জাত


টরি-৭

ফসল বোনা থেকে পাকা পর্যন্ত ৭০-৮০ দিন সময় লাগে। উন্নত পদ্ধতিতে সরিষা চাষ করলে হেক্টর প্রতি ফলন ৯৫০-১১০০ কেজি হয়। বীজে তেলের পরিমাণ ৩৮-৪১%। জাতটি রোগবালাই সহনশীল।


সোনালী সরিষা (এসএস-৭৫)

ফলে ৪ টি কক্ষ থাকে এবং প্রতি ফলে বীজের সংখ্যা ৩৫-৪৫ টি । বীজের রং হলদে সোনালী । বীজ গোলাকার।হাজার বীজের ওজন ৩.৫-৪.৫ গ্রাম এবং বীজে তেলের পরিমাণ ৪৪-৪৫%। গাছের কান্ড ও শিকড় শক্ত বলে অধিক সার ও সেচ প্রয়োগে গাছ নুয়ে পড়ে না।


কল্যাণীয়া (টিএস-৭২)   

বীজ গোলাকার। হাজার বীজের ওজন ২.৫-৩.০ গ্রাম। বীজে তেলের পরিমাণ ৪০-৪২%। ফসল পাকতে ৭৫-৮৫ দিন সময় লাগে। উন্নত পদ্বাতিতে সরিষা চাষ করলে প্রতি হেক্টরে ১.৪৫-১.৬৫ টন ফলন পাওয়া যায়। কল্যাণীয়া জাতটি স্বল্প মেয়াদী উচ্চ ফলনশীল আগাম জাত।


দৌলত ( আর এস-৮১)

বপন থেকে তোলা পর্যন্ত ৯০-১০৫ দিন সময় লাগে। দৌলত জাত খরা ও কিছুটা লবনাক্ততা সহনশীল। সরিষা বীজে তেলের পরিমাণ ৩৯-৪০%। জাতটি অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ সহনশীল।


বারি সরিষা -৬ (ধলি)

 বীজের রং হলদে। কান্ড ও শিকড় শক্ত হওয়ায় গাছ হেলে পড়ে না। পরিপক্ক ফল ফেটে গিয়ে বীজ ঝরে পড়ে না। ফল ও ফলের ঠোঁট তুলনামূলকভাবে লম্বা। বারি সরিষা -৬ (ধলি) পাকতে ৯০-১০০ দিন সময় লাগে। পরিমাণমত সার ও সেচ দিলে প্রতি হেক্টরে ১.৯-২.২ টন ফলন পাওয়া যায়। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৪-৪৫%।


বারি সরিষা -৭ (ন্যাপাস-৩১৪২)

গাছের পাতা বোটাহীন ও তল মসৃণ । ফুলের পাঁপড়ির রং সাদা। প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৯০-১২৫ টি । ফল ২ কক্ষ বিশিষ্ট এবং প্রতি ফলে বীজের সংখ্যা ২৫-৩০ টি।


বারি সরিষা -৮ (ন্যাপাস-৮৫০৯)

ফুলের পাঁপড়ির রং হলদে। প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৯০-১২৫ টি, ফল ২ কক্ষ বিশিষ্ট । প্রতি ফলে বীজের সংখ্যা ২৫-৩০ টি। বীজের রং কালচে। হাজার বীজের ওজন ৩.৪-৩.৬ গ্রাম। ফসল পাকতে ৯০-৯৫ দিন সময় লাগে।বীজে তেলের পরিমাণ ৪৩-৪৫%। এ জাত অলটারনারিয়া ব্লাইট রোগ ও সাময়িক জলাবদ্দতা  সহনশীল।


রাই-৫

প্রতি গাছে ৪-৬ টি প্রাথমিক শাখা থাকে। পাতা বোটাযুক্ত ও খসখসে। প্রস্ফুটিত ফুল কুড়ির নিচে অবস্থান করে।প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ৯০-১২০। বীজে তেলের পরিমাণ ৩৯-৪০%।


বারি সরিষা -৯

এ জাতটি  ‌টরি-৭ এর চেয়ে শতকরা ১০-২৫ ভাগ বেশি ফলন দেয়। আমন ধান কাটার পর এবং বোরো ধান চাষের আগে স্বল্প মেয়াদী সরিষার জাতটি সহজে চাষ করা সম্ভব। বীজে তেলের পরিমাণ শতকরা ৪৩-৪৪ ভাগ। ফসল পাকতে ৮০-৮৫ দিন সময় লাগে। পরিমাণমত সার ও সেচ দিলে হেক্টরে ১.২৫-১.৪৫ টন ফলন পাওয়া যায়। 


বারি সরিষা -১০

গাছের উচ্চতা ৯০-১০০ সেমি। প্রতি গাছে ৪-৬ টি প্রাথমিক শাখা থাকে। শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়। পাতা হালকা সবুজ রংয়ের। পাতা  বোটাযুক্ত ও খসখসে । প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা ১০০-১২০ টি । ফল ২ কক্ষ বিশিষ্ট । প্রতি পলে বীজের সংখ্যা ১২-১৫ টি । বীজের রং পিঙ্গঁল ।বীজে তেলের পরিমাণ শতকরা ৪২-৪৩ ভাগ। হেক্টর প্রতি ফলন ১.২৫-১.৪৫ টন। আমন ধান কাটার পর এ জাতটি নাবি জাত হিসাবে চাষ করা যায়।


বারি সরিষা -১১

 বীজের ওজন অন্যান্য রাই সরিষার চেয়ে বেশি। ফসল ১০৫-১১০ দিন পাকে। প্রতি হেক্টরে ২.০-২.৫ টন ফলন পাওয়া যায়। এ জাতটি দৌলতের চেয়ে ২০-২৫% বেশি ফলন দেয়। আমন ধান কাটার পর এ জাতটি নাবি জাত হিসাবে চাষ করা যায়। জাতটি খরা এবং লবনাক্ত সহনশীল। প্রতি ফলে বীজের সংখ্যা ১২-১৫ টি।অল্টারনেরিয়া রোগ সহনশীল।


বারি সরিষা -১২

বীজে তেলের পরিমাণ ৪৩- ৪৪%। ফসল ৭৮-৮৫ দিনে পাকে। প্রতি হেক্টরে ১.৪৫-১.৬৫ টন ফলন পাওয়া যায়। আমন ধান কাটার পর স্বল্প মেয়াদী জাত হিসেবে চাষ করে বোরো ধান রোপণ করা যায়।

 

বারি সরিষা-১৩:

হেক্টর প্রতি ফলন ২.২০-২.৮০ টন। ফসল ৯০-৯৫ দিনে পাকে। বীজে তেলের পরিমান শতকরা প্রায় ৪৩ ভাগ।প্রতি গাছে শুটির সংখ্যা ৬৫-৭৫টি। জাতটি সাময়িক জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু।


বারি সরিষা -১৪

ফসল ৭৫-৮০ দিনে পাকে। প্রতি হেক্টরে ১.৪-১.৬ টন ফলন পাওয়া যায়। আমন ধান কাটার পর স্বল্প মেয়াদী জাত হিসেবে চাষ করে বোরো ধান রোপণ করা যায়।প্রতি গাছে শুটির সংখ্যা ৮০-১০০টি শুটি যদিও দেখতে চার প্রকোষ্ট মানে হয় কিন্তু আসলে দুই প্রকোষ্ট বিশিষ্ট।


বারি সরিষা -১৫

উচ্চতা ৯০-১০০ সেঃমি। প্রতি গাছে শুটির সংখ্যা ৭০-৮০টি। ফসল ৮০-৮৫ দিনে পাকে। প্রতি হেক্টরে ১.৫৫-১.৬৫ টন ফলন পাওয়া যায়। আমন ধান কাটার পর স্বল্প মেয়াদী জাত হিসেবে সরিষা চাষ করে বোরো ধান রোপণ করা যায়।


বারি সরিষা -১৬

উচ্চতা ১৭৫-১৯৫ সেঃ মি। প্রতি গাছে শুটির সংখ্যা ১৮০-২০০টি। ফসল ১০৫-১১৫ দিনে পাকে। প্রতি হেক্টরে ২.০-২.৫ টন ফলন পাওয়া যায়। আমন ধান কাটার পর  বোরো ধান করে না এমন জমিতে এ জাতটি নাবি জাত হিসেবে চাষ করা যায়। এ জাতটি খরা ও লবনাক্ততা সহিষ্ঞু।অল্টারনেরিয়া রোগ সহনশীল।


বারি সরিষা -১৭

প্রতি গাছে শুটির সংখ্যা ৬০-৬২টি।ফসল ৮২-৮৬ দিনে পাকে। প্রতি হেক্টরে ১.৭-১.৮ টন ফলন পাওয়া যায়। জাতটি স্বল্প মেয়াদী হওয়ায় রোপা আমন-সরিষা-বোরো ধান শস্য বিন্যাসের জন্য উপযুক্ত।


 বিনাসরিষা-৪

বীজের রঙ লালচে কালো এবং সরিষা বীজে তেলের পরিমাণ ৪৪% । জীবনকাল ৮০-৮৫ দিন। সর্বোচ্চ ২.৪০ টন /হেক্টর ফলন পাওয়া যায়। তবে হেক্টর প্রতি গড় ফলন ১.৭০ টন।


বিনা সরিষা-৭

জাতটি খরা এবং অল্টারনারিয়া জনিত পাতা ও ফলের ঝলসানো রোগ সহনশীল। বীজের আকার তুলনামূলকভাবে বড়। বীজে তেলের পরিমাণ ৩৬-৩৮%। জীবনকাল ১০২-১১০ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন ২.০ টন।


বিনা সরিষা-৮

বীজে তেলের পরিমাণ ৩৯-৪১%। জীবনকাল ১০০-১০৮ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন ২.৪ টন।


বিনা সরিষা-৯

জাতটি অল্টারনারিয়া জনিত পাতা ও ফলের ঝলসানো রোগ এবং বৃষ্টিজনিত সাময়িক জলাবদ্ধতা  সহনশীল। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৩%। জীবনকাল ৮০-৮৪ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন গড়ে ১.৬০ টন।


বিনা সরিষা-১০

বীজে তেলের পরিমাণ ৪২%। জীবনকাল ৭৮-৮২ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন ১.৫ টন।


সরিষা বীজের হার

হেক্টর প্রতি ৬-৭ কেজি, বিঘা প্রতি ০.৭-০.৮ কেজি।


সরিষা বপন পদ্ধতি

সরিষা বীজের চাষ সাধারণত ছিটিয়ে বপন করা হয়। লাইন করে বুনলে সার, সেচ ও নিড়ানী দিতে সুবিধা হয়। লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ১ হাত রাখতে হয়।


জমি তৈরি পদ্ধতি

জমি ২-৩টি চাষ দিয়ে তৈরি করতে হবে৷ চাষ কম হলে সরিষা বীজের অঙ্কুরোদগমে বিঘ্ন ঘটে৷ মাটির জো অবস্থায় জমি চাষ দিতে হবে৷ এতে মাটিতে ঢেলা থাকবে না, মাটি সমতল হবে৷ জমি সরিষা চাষ করার সময় আগাছা ভালোভাবে বাছাই করতে হবে, যাতে ফসলে আগাছার প্রকোপ কম হয়৷ সরিষা জমির চাষ ১০-১২ সেন্টিমিটার গভীরে হওয়া দরকার৷ সরিষা জমিতে চাষ করার ফাঁকে ফাঁকে রোদ লাগতে হবে৷ভালোভাবে চাষ-মই দিয়ে জমি সমতল করতে হবে৷



বীজ শোধন

প্রোভ্যাক্স দিয়ে (২-৩ গ্রাম ছত্রাক নাশক/ কেজি বীজ) এবং বিনা সরিষার বীজ কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক  (২.৫ গ্রাম/ কেজি) দিয়ে শোধন করতে হবে৷


বপনের সময়

 অঞ্চলভেদে এবং জমির জো অবস্থা অনুযায়ী বীজ মধ্য আশ্বিন থেকে মধ্য কার্তিক মাস পর্যন্ত বোনা যায়। রাই-৫ এবং দৌলত কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত বপন করা যেতে পারে।


নিড়ানী দেয়া

বীজ বপনের ১৫-২০ দিন পর একবার এবং ফুল আসার সময় দ্বিতীয়বার নিড়ানি দিতে হয়।


সেচ প্রয়োগ

বীজ বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে (গাছে ফুল আসার সময়) প্রথম সেচ এবং ৫০-৫৫ দিসের মধ্যে (ফল ধরার সময়) দ্বিতীয় সেচ দিতে হবে। বপনের সময় মাটিতে রস কম থাকলে চারা গজানোর ১০-১৫ দিনের মধ্যে একটি হালকা সেচ দিতে হয়।


সারের পরিমান:

জাত, মাটি এ মাটিতে রসের তারতম্য অনুসারে সার দিতে হয়। 


শতাংশ প্রতি সারের পরিমাণ

নিম্নে শতাংশ প্রতি সারের নাম ও পরিমাণ মাত্রা আলোচনা করা হল ঃ- সারের নাম ও প্রয়োগ মাত্রা

ইউরিয়া১০০০ গ্রাম।

টিএসপি - ৭০০ গ্রাম। 

এমওপি - ৩৫০ গ্রাম। 

জিঙ্ক সালফেট - ০-২০ গ্রাম। 

জিপসাম - ৬০০ গ্রাম। 

বোরিক এসিড - ৪-৬ গ্রাম। 

ডলোচুন - ১৩৫০ গ্রাম। 

সুষম কম্পোস্ট - ৪-১০ কেজি। 

গোবর - ৩০ কেজি। 

খৈল - ৪ কেজি।


জমিতে নির্বাচিত হারে সুষম কম্পোস্ট দেওয়া হলে সেখানে সাধারণ গোবর বা খৈল দেওয়ার প্রয়োজন হয়  না৷


সার প্রয়োগ পদ্ধতি 

ইউরিয়া বীজ বপনের ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ১-২ বার প্রয়োগ করতে হবে৷

♦ইউরিয়ার ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে৷

♦ইউরিয়ার দেওয়ার পূর্বে জমির আগাছা দমন করতে হবে৷

♦অর্ধেক ইউরিয়া ও অন্যসব সার জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে৷

♦ইউরিয়ার উপরিপ্রয়োগের পর জমিতে সেচ দিতে হবে৷


ফসল সংগ্রহ:

 শুটি যখন খড়ের রং ধারণ করবে তখনই ফসল কাটতে হবে। যখন সরিষা গাছের শুটি শতকরা ৭০-৭৫ভাগ পাকে তখন ফসল কর্তনের উপযোগী সময়।


যোগাযোগঃ

কৃষি বিষয়ক যে কোন সমস্যার সমাধান ও ফসলের রােগবালাই এবং পােকামাকড় দমনে সঠিক পরামর্শ দিতে আপনার পাশে রয়েছে ekrishi24.অথবা নিকটস্থ “কৃষক তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্র (ফিয়াক)” অথবা “উপ সহকারী কৃষি অফিসার” এর সাথে যোগাযোগ করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url