মুগ ডালের চাষ পদ্ধতি

মুগ ডাল চাষ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা 

মুগ ডাল চাষ পদ্ধতির জন্য জাত পরিচিতি,পুষ্টিমান,বীজতলা ও চারা রোপন এবং মাটি,সার ও সেচ ব্যবস্হানার মাধ্যমে পোকামাকড়, রোগবালাই ও আগাছা দমন ইত্যাদি বিষয়
ekrishi24,মুগ ডাল চাষ পদ্ধতি


মুগ ডাললের জাত পরিচিতি

উন্নত জাতঃ বারি মুগ-২, বারি মুগ-৩, বারি মুগ-৪, বারি মুগ-৫, বারি মুগ-৬, বারি মুগ-৭, বারি মুগ-৮, বিনামুগ-১, বিনামুগ-২, বিনামুগ-৩, বিনামুগ-৪, বিনামুগ-৫, বিনামুগ-৬, বিনামুগ-৭, বিনামুগ-৮। এর মাঝে বিনামুগ-১,বিনামুগ-৩ ও বিনামুগ-৪ শুধুমাত্র রবি, বিনামুগ-৬, বিনামুগ-৭ ও বিনামুগ-৮ শুধু খরিফ এবং বাকিসব জাত সারা বছরের জন্য উপযোগি।


মুগ ডাললের পুষ্টিমান :

মুগ ডাল সহজে হজম হয় এবং এতে আমিষের পরিমাণ অনেক বেশি, জাত ভেদে প্রায় শতকরা ২১-২৪ ভাগ । মুগ ডালের পুষ্টিগুন নানাবিধ। প্রতি ১০০ গ্রাম  মসুরে আছে  জলীয় অংশ-১০.১ গ্রাম, খনিজ পদার্থ- ৩.৫ গ্রাম, আঁশ-০.৮ গ্রাম, খাদ্যশক্তি-৩৪৮ কিলোক্যালরি, আমিষ-২৪.৫ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ৭৫ মিলিগ্রাম, লৌহ- ৮.৫ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন-৪৯ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-২- ০.১৫ মিলিগ্রাম ও শর্করা-৫৯.৯ গ্রাম ইত্যাদি।


বীজ ও বীজতলা

বর্ণনা :

 বীজ ছিটিয়ে ও বীজ বপন যন্ত্র দিয়ে সারি করে বপন করা হয়।


বীজ ও বীজতলার প্রকারভেদ :

মুগডালের জন্য বীজতলার প্রয়োজন হয় না।


ভাল বীজ নির্বাচন :

উন্নত জাতের রোগ বালাই মুক্ত মান সম্পন্ন বীজ ব্যবহার করতে হবে। বীজ বিশুদ্ধ হতে হবে এবং গজানোর ক্ষমতা ৮০% এর বেশি থাকতে হবে। সরকার অনুমোদিত ডিলারদের থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে। সংগ্রহের সময় ক্রয় রশিদ গ্রহণ করতে হবে। বাজারের খোলা বীজ কেনা যাবেনা।


বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বীজ বিক্রয়কেন্দ্রের তথ্য পেতে ক্লিক করুন


বীজতলা প্রস্তুতকরণ :

 মুগডালের জন্য বীজতলার প্রয়োজন হয় না। বীজ ছিটিয়ে বপন ও বীজ বপন যন্ত্র দিয়ে সারি করে বপন করা হয়।


বীজতলা পরিচর্চা : 

মুগডালের জন্য বীজতলার প্রয়োজন হয় না।


বপন/রোপণ পদ্ধতি

চাষপদ্ধতি :

২/৩ বার চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। বীজ বপনের ২৫-৩০ দিনের মধ্যে একবার নিড়ানি দিয়ে আগাছ দমন করতে অবে। অতিবৃষ্টির ফলে যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হতে পারে সেজন্য অতিরিক্ত পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়া খরিফ-১ মৌসুমে বৃষ্টি না হলে সঠিক সময়ে বপনের আগে বা পরে একটি সেচ প্রয়োজন। সেচ দিলে চারা গজানোর পর মালচিং করে দিতে হবে। চারা বড় হলে সেচ না দেয়াই ভালো।ছিটিয়ে অথবা লাইনে উভয় পদ্ধতিতেই বীজ বপন করা যায়। লাইনে বপনের ক্ষেত্রে লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ১ ফুট বা ১২ ইঞ্চি রাখতে হবে। বীজ বপনের আগে বীজ  ও জমি শোধন করে নিতে হবে।


বীজ শোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন


 বীজতলা বা জমি শোধন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

মাটি ও সার ব্যবস্থাপনা




সারের পরিমাপ জাতের নাম
বারি মুগ (সব) বিনামুগ-১, বিনামুগ-৩, বিনামুগ-৪ বিনামুগ-২, বিনামুগ-৫, বিনামুগ-৬, বিনামুগ-৭, বিনামুগ-৮জি
ইউরিয়া ৪০ কেজি ৪০ কেজি ৪০ কেজি
টি এস পি ১০০ কেজি ১০০ কেজি ১০০ কেজি
এম ও পি ৫৫ কেজি ৫৫ কেজি ৫৫ কেজি
জিপসাম ৭০ কেজি ৭০ কেজি
জিংক ৪ কেজি ৫ কেজি
মলিবডেনাম ২ কেজি ২ কেজি




সেচ ব্যবস্থাপনা :


খরিফ মৌসুমে বীজ বপনের আগে খরা হলে সেচ দিয়ে জমিতে জো আসার পর বীজ বপন করতে হবে। জমি একেবারেই শুকিয়ে গেলে হালকা সেচ দিয়ে নিড়ানি দিন।

সেচ ও নিকাশ পদ্ধতি :


 সাধারণত মুগ চাষাবাদের সময় সেচের প্রয়োজন হয় না। বৃষ্টির কারনে জমিতে পানি বেশি জমে গেলে নালা তৈরি করে তাড়াতাড়ি পানি সরানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। জমিতে গোড়া পচা অথবা অন্যান্য ছত্রাকের আক্রমণ হলে কোনভাবেই সেচ দেয়া যাবে নাহ, এমন অবস্থায় সেচ দিলে ছত্রাক দ্রুত পুরো জমিতে ছড়িয়ে পরতে পারে।

লবণাক্ত এলাকায় সেচ প্রযুক্তি :


খরার সম্ভাবনা থাকলে সম্পূরক সেচের জন্য জমির পাশে মিনি পুকুর করে বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে হবে।



আগাছা ব্যবস্থাপনা

আগাছার নাম :   চাপড়া ঘাস


আগাছা জন্মানোর মৌসুম :

 খরিফে বেশি বাড়ে। মে থেকে জুলাইয়ের মাঝে ফুল ফোটে ও বীজ বাত্তি হয়।

আগাছার ধরন : 

বহুবর্ষজীবী ঘাসজাতীয় বীরুৎ আগাছা।

প্রতিকারের উপায় :


মাটির অগভীরে আগাছার কন্দমূল নিড়ানি,কোদাল,লাঙ্গল দিয়ে ও হাতড়ে তুলে শুকিয়ে মেরে ফেলুন। সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র আগাছা বাছাই।

আগাছার নাম : দুর্বা


আগাছা জন্মানোর মৌসুম : 

খরিফে বেশি বাড়ে। খরা সইতে পারে। এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মাঝে ফুল ফোটে ও বীজ বেশী হয়।

আগাছার ধরন : 

বহুবর্ষজীবী ঘাসজাতীয় বীরুৎ আগাছা।

প্রতিকারের উপায় :

জমি নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করুন। সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র নিড়িয়ে আগাছা বাছাই।


আগাছার নাম : মুথা/ভাদাইল


আগাছা জন্মানোর মৌসুম : 

খরিফে বেশি বাড়ে। খরা সইতে পারে। এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মাঝে ফুল ফোটে ও বীজ বাড়তি হয়। মাঝারি থেকে উঁচু জমিসহ প্রায় সবখানে আকো বা ছায়াতে এর বিচরণ।

আগাছার ধরন : 

বহুবর্ষজীবী ঘাসজাতীয় বীরুৎ আগাছা।

প্রতিকারের উপায় :


মাটির অগভীরে আগাছার শিকর নিড়ানি, কোদাল, লাঙ্গল দিয়ে ও হাতড়ে তুলে শুকিয়ে মেরে ফেলুন।


আগাছার নাম : কাঁটানটে


আগাছা জন্মানোর মৌসুম : রবি, খরিফ


আগাছার ধরন : বর্ষজীবী


প্রতিকারের উপায় :


ফসল বোনার ২৫-৩০ দিনের মধ্যে আগাছা বাছাই করতে হবে।


আবহাওয়া ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা


অতি বর্ষণ


বাংলা মাসের নাম : জ্যৈষ্ঠ

ইংরেজি মাসের নাম : জুন

ফসল ফলনের সময়কাল : খরিফ- ১ , খরিফ-২



দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতি :


নিয়মিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ এবং অতিরিক্ত পানি বের হওয়ার জন্য জমিতে নালা রাখা।


দুর্যোগকালীন/দুর্যোগ পরবর্তী প্রস্তুতি :


বারি মুগ-৬, বিনামুগ-৬, বিনামুগ-৮ চৈত্র মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে (মধ্য মার্চ) বীজ বপন সম্পন্ন করে, আষাঢ় মাসের পূর্বেই ফসল সংগ্রহ করা যায় এবং ফল পচনের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে মধ্য জানুয়ারী হতে মধ্য ফ্রেরুয়ারী (মাঘ মাস) পর্যন্ত এই জাত গুলির বীজ বপন করা যায়। এপ্রিলের মাঝামাঝি ( চৈত্র মাসের শেষ) উত্তোলন করা হয়। এ সময়ে পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার কোন প্রভাব পরে না।

দুর্যোগ পূর্ববার্তা : 

বারি মুগ-৬, বিনামুগ-৬, বিনামুগ-৮ চৈত্র মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে(মধ্য মার্চ) বীজ বপন সম্পন্ন করে, দূর্যোগ এড়ানো যায়।

প্রস্তুতি :

 নিয়মিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ এবং অতিরিক্ত পানি বের হওয়ার জন্য জমিতে নালা রাখা।



খরা

বাংলা মাসের নাম : বৈশাখ

ইংরেজি মাসের নাম : এপ্রিল

ফসল ফলনের সময়কাল : খরিফ- ১



দুর্যোগ পূর্বপ্রস্তুতি :


বারি মুগ-৬ এর প্রধান বৈশিস্ট্য হল লবনাক্ত এলাকায় আমন ধান কর্তনের পর মধ্য-ডিসেম্বরের মধ্যে মুগ ডালের এই জাত চাষ করে খরা এড়ানো যায়।

দুর্যোগকালীন/দুর্যোগ পরবর্তী প্রস্তুতি :


খরা পরিহার করার জন্য সম্পূরক সেচ দিন।

প্রস্তুতি : 

নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করতে হবে।



পোকামাকড়ঃ

পোকামাকড় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিছে ক্লিক করুন। 
 ৫)শুসরী পোকা 


রোগবালাইঃ

১)গোড়া পচা রোগ 
২)মুগের হলদে মোজাইক ভাইরাস রোগ
৩)মুগের পাউডারি মিলডিউ 
৪)পাতার দাগ রোগ।



ফসল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ


ফসল তোলা :

 মৌসুম ও জাতভেদে পরিপক্ক হলে দ্রুত ফসল সংগ্রহ করতে হবে।

ফসল সংরক্ষণের পূর্বে :


পাকা ফল ভালোভাবে শুকিয়ে নিয়ে বাছাইকরে পরিষ্কার বস্তায় সংরক্ষণ করতে হবে।

প্রক্রিয়াজাতকরণ :


ডলের গূড়া অথবা বেসন তৈরি করতে চাইলে, পরিপক্ব বীজ ভালভাবে শুকিয়ে স্থানীয় মিলে গুঁড়া করে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে প্যাকেট করতে হবে।



বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ

বীজ সংরক্ষণ:


বায়ুরোধী পাত্রে বীজ রাখা উচিত। বীজ রাখার জন্য প্লাস্টিকের ড্রাম উত্তম তবে বায়ুরোধী মাটি বা টিনের পাত্রে রাখা যায়। মাটির মটকা বা কলসে বীজ রাখলে গায়ে দু’বার আলকাতরার প্রলেপ দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। আর্দ্রতা রোধক মোটা পলিথিনেও বীজ মজুদ করা যেতে পারে। রোদে শুকানো বীজ ঠান্ডা করে পাত্রে ভরতে হবে। পুরো পাত্রটি বীজ দিয়ে ভরে রাখতে হবে। যদি বীজে পাত্র না ভরে তাহলে বীজের উপর কাগজ বিছিয়ে তার উপর শুকনো বালি দিয়ে পাত্র পরিপূর্ণ করতে হবে। পাত্রের মুখ ভালভাবে বন্ধ করতে হবে যেন বাতাস ঢুকতে না পারে। এবার এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন পাত্রের তলা মাটির সংস্পর্শে না আসে। টন প্রতি ৩.২৫ কেজি নিম, নিশিন্দা বা বিষকাটালি পাতার গুঁড়া মিশিয়ে পোলাজাত করলে পোকার আক্রমণ হয় না। বীজের ক্ষেত্রে ন্যাপথালিন বল ব্যবহার করা যায় তবে অবশ্যই বীজ প্লাস্টিক ড্রামে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি ১০০ কেজি বীজের বস্তার মধ্যে একটি অ্যালুমিনিয়াম ফস্ফাইড জাতীয় ট্যাবলেট যেমন ফসটক্সিন ট্যাবলেট দিয়ে বস্তার মুখ বন্ধ করে রেখে দিলে পোকার আক্রমণ থেকে অনেকদিন রক্ষা পাওয়া যায়। বেশি দিনের জন্য সংরক্ষনের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে বীজ রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।


খামার যন্ত্রপাতি


যন্ত্রের নাম : বারি সোলার পাম্প


যন্ত্রের ধরন : সেচ


যন্ত্রের ক্ষমতা :

 গড় পানি নির্গমন ক্ষমতা প্রতি মিনিটে ১৪০ লিটার।

যন্ত্রের উপকারিতা :


কৃষিতে সৌর পাম্প সেচ পদ্ধতি ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের বিকল্প, দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব। বাংলাদেশে ১৭.৫ লক্ষ সেচ যন্ত্র রয়েছে যার মধ্যে শতকরা ৮৫ ভাগ ডিজেল চালিত। প্রতি বছর ডিজেলের দাম বেড়েই চলছে, সেই হিসেবে বারি সোলার পাম্প ডিজেল চালিত পাম্পের বিকল্প হতে পারে।

যন্ত্রের বৈশিষ্ট্য :


১। বারি উদ্ভাবিত সেন্ট্রিফিউগাল টাইপ সৌর পাম্প ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি সেচের জন্য উপযোগী। ২। এই পাম্প দ্বারা ২০ ফুট গভীরতা থেকেও পানি তোলা যায়। ৩। এই পাম্প চালনায় তৈল ও জ্বালানি লাগে না। ৫।এই পাম্প ৯০০ ওয়াট সোলার প্যানেল দ্বারা চালনা করা হয়। ৬। এ পাম্পে কোন ব্যাটারি লাগে না।


যন্ত্রের নাম : লাঙ্গল



যন্ত্রের পরিচালনা পদ্ধতি :


কায়িক, পশু শ্রম

যন্ত্রের ক্ষমতা :

 হস্ত চালিত/ কায়িক

যন্ত্রের উপকারিতা :


কম জমি জমি সহজে চাষযোগ্য। সারি টানায় সুবিধা জনক।

যন্ত্রের বৈশিষ্ট্য :


সহজে বহন যোগ্য ও অর্থ সাশ্রয়ী।


রক্ষণাবেক্ষণ :

 ব্যবহাররে পর মাটি ও কাদাপানি পরিস্কার করে রাখুন।



বাজারজাতকরণ


বর্ণনা :

 নিকটতম স্থানীয় বাজারে বাজারজাত করার সুযোগ নেয়া যেতে পারে।

প্রথাগত ফসল পরিবহন ব্যবস্থা :


শ্রমিক, নৌকা, ঠেলাগাড়ি ও গরুর গাড়ি।

আধুনিক ফসল পরিবহন ব্যবস্থা :


ট্রলি, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান।

প্রথাগত বাজারজাত করণ :


স্থানীয় বাজারে/বস্তায় টুকড়ি/ধামা ঠোঙ্গায়।

আধুনিক পদ্ধতিতে বাজারজাত করণ :


পলি ব্যাগ/টিনজাত/বস্তায় গ্রেডিং করে প্যাকেটজাত করে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url