আলুর বীজ শোধন পদ্ধতি | আলু চাষ

আলুর বীজ শোধন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা 


ভাল বীজে ভাল ফলন,বীজ শোধন মানেই অধিক ফলন।বীজ শোধন হচ্ছে বীজের বাইরে অথবা বীজের মধ্যে/ভিতরে অতি জীবকনার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জৈবিক ও রাসায়নিক পক্রিয়া।বীজ শোধন করা হলে অতি ক্ষুদ্র জীবানুর হাত থেকে বীজ ও চারা গাছকে রক্ষা করে। এবং অনেক সময় বীজ বাহিত রোগের হাত থেকে বীজ ও চারা গাছকে রক্ষা করা যায়। এছাড়া বীজ শোধন করে ফসল লাগানোর ফলে গাছের সার্বিক বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, যার কারণে ফসলের উৎপাদন অনেক বেড়ে যায়।



অধিক ফলনের জন্য আলু রোপনের পূর্বে আলু বীজ শোধন অতিব জরুরী। বর্তমানে মাঠে আলু লাগানোর উপযুক্ত সময়। তাই আলু লাগানোর পুর্বে বীজ শোধন করতে হবে।সাধারণত বীজ দুই ভাবে শোধন করা যায়।
আলুর বীজ শোধন পদ্ধতি | আলু চাষ



আলু বীজ শোধন

অধিক ফলনের জন্য আলু রোপনের পূর্বে আলু বীজ শোধন অতিব জরুরী। বর্তমানে মাঠে আলু লাগানোর উপযুক্ত সময়। তাই আলু লাগানোর পুর্বে বীজ শোধন করতে হবে।সাধারণত বীজ দুই ভাবে শোধন করা যায়।

১ম শোধন পদ্ধতি

বীজ প্রত্যয়িত হলে বপনের আগে আর কোনো রকম ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হয় না৷ অন্যথায় বীজ শোধন করে নেওয়া ভালো৷ বীজ শোধনের জন্য মারকিউরিক ক্লোরাইড (Mercuric chloride), ফার্মালডিহাইড (Formaldehyde) অথবা, ইয়েলো অক্সাইড অব মার্কারি (Yellow oxide of mercury) ব্যবহার করা যায়৷ উক্ত তরল গুলোতে আলুর বীজকে কিছুক্ষণ চুবিয়ে উঠিয়ে নিলেই বীজ শোধন হয়ে যায়৷ তবে কাটা বীজ ব্যবহার করতে গেলে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, যেমন-


আরও জানতে নিছে ক্লিক করুন 


🥔🥔🥔 বীজ কাটার সময় ধারালো ছুড়ি দিয়ে লম্বালম্বি কাটতে হবে।

🥔🥔🥔 বীজের কাটা দিকটায় পরিষ্কার ঠাণ্ডা ছাই লাগিয়ে দিতে হবে৷ এই সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করলে বীজ পচে নষ্ট হয়ে যাবার সম্ভাবনা কম থাকবে৷

🥔🥔 🥔কাটা বীজ আলুকে কিউরিং করে নিলেও উপকার পাওয়া যায়৷ কিউরিংয়ের জন্য কর্তিত বীজ আলুকে ৬০-৭০ডিগ্রি ফারেনহাইট অর্থাৎ ১৬-২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৮৫-ঌ০% আদ্রতায় সপ্তাহ খানেক রাখলে বীজের কর্তিত তলে একটি আত্নরক্ষাকারী স্তর সৃষ্টি হয় যা বীজের মধ্যে রোগজীবাণুর প্রবেশ অনেকাংশে রোধ করতে পারে৷ তবে এইভাবে কিউরিং করা সাধারণ চাষীদের পক্ষে সম্ভব না হলেও বীজ আলুকে পাতলা স্তরে মেঝেতে ছড়িয়ে ভিজা চট দ্বারা কয়েকদিন ঢেকে রাখলে সুফল পাওয়া যাবে৷




২য় শোধন পদ্ধতি

বীজ আলু লাগানোর পুর্বে বীজ শোধন করতে কার্বেন্ডাজিম+থিরাম গ্রুপের অথবা শুধু কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক ব্যবহার করে বীজ শোধন করা যায়। বীজ শোধনের জন্য যে কোন কৃষক বাজার থেকে বীজ শোধক প্রোভেক্স , ভিটাভেক্স, ভিটাফো-২০০ এফ এফ, হাদাক ইত্যাদি পাউডার কিনে প্রতি ১০ কেজি আলু বীজের জন্য ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম পাউডার ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে আলু বীজ ৫ থেকে ১০ মিনিট পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে।এরপর পানি থেকে তুলে পরিষ্কার ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ছায়ায় শুকিয়ে জমিতে রোপন করতে হবে । এভাবে আলু বীজ শোধন করে রোপন করা হলে বীজবাহিত রোগ থেকে আলু রক্ষা করে অধিক ফলনের নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে।

🥔 🥔হিমাগারে রাখার আগে বীজ শোধন না হয়ে থাকলে অঙ্কুর গজানোর পূর্বে বীজ আলু বরিক এসিড দিয়ে শোধন করে নিতে হবে (১ লি. পানি + ৩০ গ্রাম হারে বরিক এসিড মিশিয়ে বীজ আলু ১৫-২০ মিনিট চুবিয়ে পরে ছায়ায় শুকাতে হবে)।


যোগাযোগঃ

কৃষি বিষয়ক যে কোন সমস্যার সমাধান ও ফসলের রােগবালাই এবং পােকামাকড় দমনে সঠিক পরামর্শ দিতে আপনার পাশে রয়েছে ekrishi24.অথবা নিকটস্থ “কৃষক তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্র (ফিয়াক)” অথবা “উপ- সহকারী কৃষি অফিসার” এর সাথে যোগাযোগ করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url