ধানের চিটা ( হিট শক/ হিট ইনজুরি) দেখলে করণীয়
ধানের ফুল ফোটা পর্যায়ে হিট শক/ হিট ইনজুরিতে চিটা দেখে দিলে কৃষক ভাইদের করণীয়।
কৃষি ও কৃষকদের নিয়েও একটু ভাবুন,আমরা ভালো থাকতে চাই।আমাদের ভালো মন্দের খবরটাও প্রচার করুন
|
|
| ধানের চিটা ( হিট শক/ হিট ইনজুরি) দেখলে করণীয় |
ধানে চিটা হওয়ার কারণ কী
স্বাভাবিকভাবে ধানে শতকরা ১৫-২০% চিটা হয়। চিটার পরিমাণ এর চেয়ে বেশি হলে ধরে নিতে হবে থোড় থেকে ফুল ফোটা এবং ধান পাকার আগ পর্যন্ত ফসল কোন না কোন প্রতিকূলতার শিকার হয়েছে, যেমন অসহনীয় ঠাণ্ডা বা গরম, খরা বা অতিবৃষ্টি, ঝড়, পোকা ও রোগবালাই এবং অনিয়ম করে বালাইনাশক প্রয়োগ।
গরম:
ধানের জন্য অসহনীয় তাপমাত্রা হলো ৩৫° সেলসিয়াস বা তার বেশি। ফুল ফোটার সময় ১-২ ঘণ্টা ঐ তাপমাত্রা বিরাজ করলে মাত্রাতিরিক্ত চিটা হয়ে যায়।
মার্চ মাসের ৩য় সপ্তাহ থেকে দিনের বেলার তাপমাত্রা প্রায়শই ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার চেয়েও বেড়ে যাচ্ছে।
ঝড়ো বাতাস:
প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসের কারণে গাছ থেকে পানি প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে যায়। এতে ফুলের অঙ্গগুলোর গঠন বাধাগ্রস্ত হয়। আবার ঝড়ো বাতাস পরাগায়ন, গর্ভধারণ ও ধানের মধ্যে চালের বৃদ্ধি ব্যাহত করে। এতে ধানের সবুজ খোসা খয়েরি বা কালো রঙ ধারণ করে। ফলে ধান চিটা হয়ে যেতে পারে।
খরা/শুষ্কতা:
খরার কারণে শিষের শাখা বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং বিকৃত ও বন্ধ্যা ধানের জন্ম দেয়ায় চিটা হয়ে যায়।
♥প্রচণ্ড গরম ও ঝড়ো বাতাসের কারণে কোথাও ধান চিটা হতে দেখা গেলে করণীয় হলো-
১। জমিতে সর্বদা পানি রাখুন। (সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জমিতে পানি ধরে রেখে তাপমাত্রা কমিয়ে আনার ব্যবস্থা করা)।
২। এমওপি সার ১০ লিটার পানিতে ১০০ গ্রাম মিশিয়ে ৫ শতাংশ হিসেবে স্প্রে করুন অথবা বিঘা প্রতি ৫ কেজি হিসেবে দানাদার এমওপি (পটাশ) সার উপরি প্রয়োগ করুন।
৩। ধানের ফুল অবস্থায় স্প্রে করার প্রয়োজন হলে অবশ্যই পড়ন্ত বিকেলে বালাইনাশক স্প্রে করুন। সাধারণত সকাল ৭-১১টা পর্যন্ত ধানের পরাগায়ণ ঘটে।এ অবস্থায় স্প্রে করলে পরাগায়নের সমস্যা হয় এবং ধান চিটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অপরিকল্পিতভাবে বালাইনাশক স্প্রে করা যাবেনা।
যোগাযোগঃ
কৃষি বিষয়ক যে কোন সমস্যার সমাধান ও ফসলের রােগবালাই এবং পােকামাকড় দমনে সঠিক পরামর্শ দিতে আপনার পাশে রয়েছে ekrishi24.অথবা নিকটস্থ “কৃষক তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্র (ফিয়াক)” অথবা “উপ সহকারী কৃষি অফিসার” এর সাথে যোগাযোগ করুন।