কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক পরিচিতি | কীটনাশক

 কীটনাশক_পরিচিতি_কার্বারিল (Carbaryl)গ্রুপ


কার্বারিল (১- ন্যাপথাইল মিথাইল কার্বামেট ) হলো কার্বামেট ফ্যামিলির একটি কেমিক্যাল  যা বহুলভাবে কৃষিতে পোকামাকড়নাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয় । এটি কৃত্রিম কীটনাশক যা পোকামাকড়ের  নার্ভ সেলে বিষক্রিয়া ঘটায় ।১৯৫৯ সাল থেকে এই কীটনাশক ব্যবহার শুরু হয় ।


 

যখন পোকামাকড় কার্বারিল খায় অথবা স্পর্শ করলে তাদের  নার্ভ সিস্টেমকে প্রভাবিত করে । কার্বারিল স্নায়ুতে Signal পাঠানো এনজাইম অ্যাসিটোকলিনকে নিষ্ক্রিয়
কার্বারিল জাতীয় কীটনাশক গ্রুপের পরিচিতি



কীভাবে কাজ করে

যখন পোকামাকড় কার্বারিল খায় অথবা স্পর্শ করলে তাদের  নার্ভ সিস্টেমকে প্রভাবিত করে । কার্বারিল স্নায়ুতে Signal পাঠানো এনজাইম অ্যাসিটোকলিনকে নিষ্ক্রিয় করে শ্বাস-প্রশ্বাসকে বাধা দেয় । এতে পোকামাকড় মারা যায় ।


ব্যবহার 

এফিড, হপার, কারেন্ট পোকা, পিঁপড়া, মাছি, মাকড়সাসহ বিভিন্ন পোকামাকড় দমন করে। ইদুর দমনে ব্যবহার করা যায়।


প্রয়োগমাত্রা

প্যাকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। পাতার চেয়ে মূল দিয়ে বেশি কার্বারিল শোষিত হয় ।তাই গাছের মূলে প্রয়োগ করলে তাড়াতাড়ি কার্যকর হবে । তবে পাতাতেও স্প্রে করা যাবে।


বাণিজ্যিক নাম

সেভিন (বায়ার কোম্পানি), ভিটাব্রিল(ম্যাকডোনাল্ড), এসিকার্ব(এসিআই) ইত্যাদি। 


ফসলে_বিষক্রিয়া_সময়(MRL)

বিষ প্রয়োগের ১৫-২০ দিন আগে ফসল তোলা যাবে না। 


ক্ষতিকর দিক

এতে ক্যান্সার তৈরির উপাদান পাওয়ায় কয়েকটি দেশে এটি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

এটি পোকামাকড় ও স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এছাড়া মাটি ও পানিতে বসবাসকারী অণুজীবের জন্য ক্ষতিকর।  পাখি,মাছ, কেঁচো, মৌমাছির জন্য ক্ষতিকর।


>>কার্বারিল এর সংস্পর্শে আসলে দুর্বল, মাথাঘোরা,মাথা ব্যথা,বমি বমি ভাব, শ্বাসকষ্ট, হৃদপিন্ড ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে ।


সতর্কতা

১. কোনভাবেই অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করা যাবে না । এজন্য প্যাকেটের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। 

১.হাতে গ্লাভস, এপ্রোন ও মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে ব্যবহারের সময় । এগুলো একান্তই সম্ভব না হলে ফুলহাতা শার্ট, হাত মোজা, মুখ ঢেকে ব্যবহার করতে হবে যাতে কোনভাবেই শরীরে না লাগে।

২.শিশুদের ও গৃহপালিত পশু পাখিদের দূরে রাখতে হবে ।



যোগাযোগঃ

কৃষি বিষয়ক যে কোন সমস্যার সমাধান ও ফসলের রােগবালাই এবং পােকামাকড় দমনে সঠিক পরামর্শ দিতে আপনার পাশে রয়েছে ekrishi24.অথবা নিকটস্থ “কৃষক তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্র (ফিয়াক)” অথবা “উপ সহকারী কৃষি অফিসার” এর সাথে যোগাযোগ করুন।




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url