আমন/রোপা আমন ধানের চাষ পদ্ধতি
আমন ধান চাষ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
আমন' শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ 'আমান' থেকে যার অর্থ 'আমানত'৷ অর্থাৎ অতীত কাল
থেকেই এই মৌসুমে নিশ্চিত ফসল হিসেবে আমন ধান চাষ করা হতো৷ তা কেনই বা নয়? জানেনই
তো ১ কেজি ধান উৎপাদন করতে প্রায় ৩০০০-৩৫০০ লিটার পানির প্রয়োজন হয়! যা এই আমন
মৌসুমে বৃষ্টির কারনে খুব বেশি সমস্যা তৈরি করে না৷
📣এখন আসি কিছু বিষয় খোলাসা করি, আমাদের ধান চাষের মৌসুম ৩ টি, যথাঃ আউশ, আমন এবং বোরো৷ জমির হিসাব করতে গেলে ১ শতাংশে ৪৩৫ বর্গফুট, ৩৩ শতাংশে ১ বিঘা, ১০০ শতাংশে ১ একর, ২৪৭ শতাংশে ১ হেক্টর৷
|
| আমন ধান চাষ পদ্ধতি |
♦📯♦📯আমন ধানের প্রকারভেদঃ
আমন ধান মূলত দুই প্রকার
১) রোপা আমন ও
২)বোনা আমন।
♦রোপা আমন ধান
অন্য জমিতে চারা প্রস্তুত করে, সেই চারা ক্ষেতে রোপণ করে ধান উৎপন্ন হয় বলে একে
রোপা আমন বলে।
♦বোনা আমন ধান
জমিতে সরাসরি ছিটিয়ে বোনা হয় বলে একে বোনা আমন ধান বলে।
আবার একে
ছড়া আমন, বাওয়া আমন বা গভীর পানির আমনও বলা হয়।
♦রোপা আমন ধানের বীজ কখন বপন করবেন?
রোপা আমন আষাঢ় মাসে বীজতলায় বীজ বোনা হয়, শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে মূল জমিতে রোপণ করা
হয় এবং কার্তিক-অগ্রহায়ণ-পৌষ (এলাকাভেদে) মাসে ধান কাটা হয়।
♦বোনা আমন ধানের বীজ কখন বপন করবেন?
চৈত্র-বৈশাখ মাসে মাঠে বোনা আমনের বীজ বপন করা হয় এবং অগ্রহায়ণ মাসে পাকা ধান
কাটা হয়।
♦আমন ধানের জাত নির্বাচন
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমন মৌসুম ও এর পরিবেশ উপযোগী
৪১টি (৩৯টি ইনব্রিড ও ২টি হাইব্রিড) উফশী ধানের জাত ও ধান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য
নানা রকম কৃষিতাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবন করেছে। অনুকূল ও প্রতিকূল পরিবেশে
চাষযোগ্য আমন জাতগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
⏺️সময়কাল
জীবনকাল অনুসারে জাতগুলোকে কয়েকভাবে ভাগ করা যায়।
১) দীর্ঘমেয়াদি,
২)মধ্যম মেয়াদি ও
৩)স্বল্প মেয়াদি জাত।
♦আমন বীজতলা তৈরি
উঁচু এবং উর্বর জমিতে বীজতলা তৈরি করতে হবে যেখানে বন্যার পানি উঠার সম্ভাবনা
নেই। যেসব এলাকায় উঁচু জমি নেই সেসব এলাকায় ভাসমান বীজতলা তৈরি করার জন্য পরামর্শ
দেয়া যেতে পারে। দীর্ঘ, মধ্যম ও স্বল্প জীবনকালের জাতের জন্য আলাদা আলাদা স্থান ও
সময়ে বীজতলায় বপন করতে হবে। পরিমিত ও মধ্যম মাত্রার উর্বর মাটিতে বীজতলার জন্য
কোনো সার প্রয়োগ করতে হয় না। তবে নিম্ন, অতি নিম্ন অথবা অনুর্বর মাটির ক্ষেত্রে
গোবর অথবা খামারজাত সার প্রতি শতকে ২ মণ হিসাবে প্রয়োগ করতে হবে। ভালো চারা
পাওয়ার জন্য ভালো বীজের বিকল্প নেই। তাই বিএডিসি, স্থানীয় কৃষি বিভাগ বা ব্রি
কার্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে ভালো বীজ সংগ্রহ করে বীজতলায় বপন করতে হবে।
🔷 আমন বীজতলায় রোগ ব্যবস্থাপনা :
আমন বীজতলায় বাকানি রোগ দেখা দিতে পারে। বাকানি রোগাক্রান্ত ধানের চারা হালকা
সবুজ, লিকলিকে ও স্বাভাবিক চারার চেয়ে অনেকটা লম্বা হয়ে অন্য চারার ওপরে ঢলে পড়ে।
আক্রান্ত চারাগুলো ক্রমান্বয়ে মারা যায়। আক্রান্ত চারার নিচের গিট থেকে
অস্থানিক শিকড়ও দেখা যেতে পারে।
🔷 আমন বীজতলার রোগ দমন ব্যবস্থাপনা :
বাকানি রোগ দমনের জন্য অটোস্টিন ৫০ ডব্লিউপি বা নোইন দ্বারা বীজ অথবা চারা শোধন
করতে (১ লিটার পানিতে ৩ গ্রাম অটোস্টিন ৫০ ডব্লিউপি বা নোইন মিশিয়ে তাতে ধানের
বীজ অথবা চারা ১০-১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা) হবে। আক্রান্ত গাছ সংগ্রহ করে পুড়িয়ে
ফেলতে হবে। বীজতলা হিসেবে একই জমি ব্যবহার না করা।
🔷 আমন ধানের চারা রোপণ :
লাইন বা সারিবদ্ধভাবে চারা রোপণ করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো ও বাতাস চলাচলের
জন্য উত্তর-দক্ষিণ বরাবর সারি করে লাগালে ভালো। সাধারণত সারি থেকে সারির দূরত্ব
২৫ সে.মি. (৮ ইঞ্চি) ও গুছি থেকে গুছির দূরত্ব ১৫ সে.মি. (৬ ইঞ্চি) রাখলে ভালো
ফলন পাওয়া যাবে। তবে জমি উর্বর হলে সারি থেকে সারির দূরত্ব ২৫ সে.মি. (১০ ইঞ্চি)
ও গুছি থেকে গুছির দূরত্ব ১৫ সে.মি. (৬ ইঞ্চি) রাখা যেতে পারে।
🔷আমন ধানের চারার বয়স :
আলোক-অসংবেদনশীল দীর্ঘ ও মধ্যম মেয়াদি জাতগুলোর চারার বয়স হবে ২০-২৫ দিন।
আলোক-অসংবেদনশীল স্বল্পমেয়াদি জাতগুলোর চারার বয়স হবে ১৫-২০ দিন।
ধান৪১, ব্রি ধান৫৩, ব্রি ধান৫৪, ব্রি ধান৭৩ চারার বয়স হবে ৩০-৩৫দিন।
আলোক-সংবেদনশীল জাতগুলোর (যেমন : বিআর২২, বিআর২৩, ব্রি ধান৪৬, ব্রি ধান৭৬, ব্রি ধান৭৭) নাবিতে রোপণের ক্ষেত্রে চারার বয়স হবে ৩৫-৪০দিন।
🔷 আমন ধানের রোপণ সময় :
রোপা আমনের আলোক-অসংবেদনশীল দীর্ঘ ও মধ্যম মেয়াদি জাতগুলোর উপযুক্ত রোপণ সময় হচ্ছে ১৫ জুলাই-১৫ আগস্ট। তাছাড়া প্রতিদিন বিলম্বের জন্য ফলন কমে যাবে।
আলোক-অসংবেদনশীল স্বল্পমেয়াদি জাতগুলোর উপযুক্ত রোপণ সময় হচ্ছে ২৫জুলাই-২৫আগস্ট। এই সময়ের আগে লাগালে ইঁদুর ও পাখি আক্রমণ করে।
রোপা আমন ধানের সম্পূরক সেচ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে CLICK NOW
আলোক-সংবেদনশীল জাতগুলোর (বিআর২২, বিআর২৩, ব্রি ধান৪৬, ব্রি ধান৩৪, ব্রি ধান৫৪, নাইজারশাইল) বপন সময় হলো ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এবং রোপণ সময় হচ্ছে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
সকল সুগন্ধি এবং স্থানীয় জাত ১-২০ভাদ্র (মধ্য আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম
সপ্তাহ) সময়ের মধ্যে রোপণ করতে হবে।
⭕ মূল_জমিতে_সার_প্রয়োগ
আমন ধানের অধিক ফলন পেতে সঠিক সময়ে সুষমমাত্রায় বিভিন্ন জৈব ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করা অপরিহার্য। রাসায়নিক সারের মধ্যে ডাই এমোনিয়াম ফসফেট, ট্রিপল সুপার ফসফেট, মিউরেট অব পটাশ, জিপসাম, ম্যাগনেশিয়াম সালফেট (ম্যাগসার, অ্যাগ্রোম্যাগভিট), জিংক সালফেট (মনো বা হেপ্টা) বা চিলেটেড জিংক (লিবরেল জিংক), বরিক এসিড, সলিউবর বোরন (লিবরেল বোরন) ইত্যাদি সার সঠিক সময়ে সুষমমাত্রায় ব্যবহার করতে হবে।
তবে অধিকাংশ কৃষক অতিমাত্রায় ইউরিয়া সার ব্যবহার করতে আগ্রহী। কিন্তু জানা
দরকার, অতিমাত্রায় ইউরিয়া প্রয়োগের ফলে জমিতে ফসফরাস ও পটাশজাতীয় সারের
পরিমাণ মারাত্মক হারে কমে যায়।
আমন ধান চাষে সার ব্যাবস্তাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট
করুন CLICK NOW
🚫❌ধান গাছে ইউরিয়া সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে যে বিষয় গুলো খেয়াল রাখবেনঃ-
★জমি শুকনো হওয়া যাবে না
★পানি বেশি হওয়া যাবে না
★গাছের পাতায় পানি জমে থাকা যাবে না
রোপা আমন ধানের সম্পূরক সেচ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে CLICK NOW
📯📯সম্পূরক সেচঃ
আমন চাষাবাদ পুরোটাই বৃষ্টি নির্ভর। তবে প্রতি বছর সকল স্থানে বৃষ্টিপাত এক রকম হয় না। এমনকি একই বৎসরের একই স্থানে সবসময় সমানভাবে বৃষ্টিপাত হয় না। আমন মৌসুমে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের প্রায় ৮০% হয়ে থাকে, যা আমন আবাদের জন্য যথেষ্ট। তবে আমনের বৃষ্টিপাত সময়মতো না হলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। বৃষ্টি-নির্ভর ধানের জমিতে যে কোন পর্যায়ে সাময়িকভাবে বৃষ্টির অভাবে খরা হলে অবশ্যই সম্পূরক সেচ দিতে হবে। প্রয়োজনে সম্পূরক সেচের সংখ্যা একাধিক হতে পারে। তা না হলে ফলনে মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
রোপা আমন ধানের সম্পূরক সেচ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে CLICK NOW
📯📯আগাছা দমনঃ
আগাছা দমন বা রগিং করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷মূল জমিতে চারা রোপণের ২০-২৫
দিন, ৪০-৪৫ দিন এবং ৬০-৬৫ দিনের মাথায় আগাছা পরিস্কার করে ফেলতে হবে, অথবা রোপণের
৫-৭ দিনের মধ্যে কম্বাইন্ড আগাছা নাশক ‘সুপার ক্লিন’ বিঘাপ্রতি (৩৩ শতক) ১০০
গ্রাম হারে প্রয়োগ করতে হবে।এতে ফসলে রোগ পোকামাকড় এর আক্রমন কম হবে ফলে ফলন
ভালো হবে এবং এখান থেকে বীজও রাখতে পারবেন৷
আবার ধান পাকার ঠিক আগে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৪০-৪৫ গ্রাম এগ্রিসাল/ থিওভিট/মাইকোসাল (৮০% সালফার) স্প্রে করলে বীজের বর্ণ উজ্জ্বল হবে, ধানের গায়ে কালো বা বাদামি দাগ পড়বে না।
♦পুষ্টির অভাবজনিত লক্ষণ:-
√√১.নাইট্রোজেনের অভাবে বয়স্ক পাতা হলুদ হয়ে যায়।পাতার শীর্ষ থেকে মধ্যশিরা
পর্যন্ত মৃত অঞ্চল সৃষ্টি হয়।গাছের বৃদ্ধিও কমে যায়।
√√২.ফসফরাসের অভাবে ধানের গুছির বৃদ্ধি বা টিলারিং কমে যায়।পাতায় বেগুনি রং
প্রকাশ পায়। বয়স্ক পাতায় লক্ষণ প্রথম দৃশ্যমান হয়।
√√৩.পটাশিয়ামের অভাবে পাতার শীর্ষ কিনারা বরাবর বাদামি অঞ্চল সৃষ্টি হয় ও
পরবর্তীতে পুরো পাতায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। ধানের ছড়াতেও অনিয়মিতভাবে কালচে অংশ
দেখা যায়।পাতা ছোট ও কান্ড সরু দেখায়।
√√৪.জিংকের অভাবে পাতায় বাদামি ছোপছোপ মরিচার মতো দাগ দেখা যায়। গাছের বৃদ্ধি কমে
যায়,অভাব প্রকট হলে গাছ মারাও যেতে পারে। এর অভাবে ধানের পরিপক্কতায়ও বিলম্ব
হয়।
√√৫.ক্যালসিয়ামের অভাবে কচি পাতা ও শীর্ষ হলদেটে হয়ে যায়,কুকড়েও যেতে পারে। আর
গাছের বৃদ্ধিও কমে যায়।
√√৬.বোরনের অভাবে পাতার শীর্ষ সাদাটে হয়ে যায়,গাছের বর্ধিষ্ণু অঞ্চল মরে যায়।
গাছের উচ্চতা কম হয়।
√√৭.সালফারের অভাব ঘটলে নিচের দিকের বয়স্ক পাতাগুলো স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু কচি
পাতার রং হালকা সবুজ বা হলদেটে হয়ে যায়।
রোপা আমন ধানের সম্পূরক সেচ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে CLICK NOW
📯📯ফসল কাটা, মাড়াই ও সংরক্ষণ :
শীষে ধান পেকে গেলেই ফসল কাটতে হবে। অধিক পাকা অবস্থায় ফসল কাটলে অনেক ধান ঝরে
পড়ে, শীষ ভেঙে যায়, শীষকাটা লেদাপোকা এবং পাখির আক্রমণ হতে পারে। তাই মাঠে গিয়ে
ফসল পাকা পরীক্ষা করতে হবে। শীষের অগ্রভাগের শতকরা ৮০ ভাগ ধানের চাল শক্ত হলে ধান
ঠিকমতো পেকেছে বলে বিবেচিত হবে। এ সময়ে ফসল কেটে মাঠেই বা উঠানে এনে মাড়াই করতে
হবে। তাড়াতাড়ি মাড়াইয়ের জন্য ব্রি উদ্ভাবিত মাড়াই যন্ত্র যেমন- রিপার, হেড ফিড
কম্ভাইন হার্ভেস্টার ও মিনি কম্বাইন হার্ভেস্টার ব্যবহার করতে হবে। ধান
মাড়াই করার জন্য পরিচ্ছন্ন জায়গা বেছে নিতে হবে। কাঁচা খলায় সরাসরি ধান মাড়াই
করার সময় চাটাই, চট বা পলিথিন বিছিয়ে নেয়া উচিত। এভাবে ধান মাড়াই করলে ধানের রঙ
উজ্জ্বল ও পরিষ্কার থাকে। মাড়াই করার পর অন্তত ৪-৫ বার রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
ভালোভাবে শুকানোর পর ঝেড়ে নিয়ে গোলাজাত করতে হবে।তারপর রোদে শুকিয়ে শুকনো নিম বা
নিসিন্দা বা কুটুসকাটাস পাতা দিয়ে বায়ুরোধী পাত্রে বীজ সংরক্ষণ করতে হবে৷
📯📯ধানের বীজ সংরক্ষণ :
ভালো ফলন পেতে হলে ভালো বীজের প্রয়োজন। আমন মৌসুমে নিজের বীজ নিজে রেখে ব্যবহার
করাই উত্তম। এ কথা মনে রেখেই কৃষকভাইদের ঠিক করতে হবে কোন জমির ধান বীজ হিসেবে
রাখবেন। যে জমির ধান ভালোভাব পেকেছে, রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ হয়নি এবং
আগাছামুক্ত সে জমির ধান বীজ হিসেবে রাখতে হবে। ধান কাটার আগেই বিজাতীয় গাছ সরিয়ে
ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে গাছের আকার-আকৃতি ও রঙ, ফুল ফোটার সময় ও শীষের ধরন,
ধানের আকার আকৃতি, রঙ ও শুঙ এবং সর্বশেষ ধান পাকার সময় আগে-পিছে হলেই তা বিজাতীয়
গাছ। সব রোগাক্রান্ত গাছ অপসারণ করতে হবে। এরপর বীজ হিসেবে ফসল কেটে এবং আলাদা
মাড়াই, ঝাড়াই, বাছাই করে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে মজুদ করতে হবে।
যোগাযোগঃ
কৃষি বিষয়ক যে কোন সমস্যার সমাধান ও ফসলের রােগবালাই এবং পােকামাকড় দমনে সঠিক
পরামর্শ দিতে আপনার পাশে রয়েছে ekrishi24.অথবা নিকটস্থ “কৃষক তথ্য ও পরামর্শ
কেন্দ্র (ফিয়াক)” অথবা “উপ সহকারী কৃষি অফিসার” এর সাথে যোগাযোগ করুন।
